সচরাচর জিজ্ঞাসা
রক্তের বিকল্প- কোন কিছু নাই; তাই, এসো রক্তদানে এগিয়ে যাই।
রক্ত দানের পর পর্যাপ্ত তরল পান করুন অন্তত ৪ গ্লাস (স্যালাইন, ফলের রস)। ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত ভারী কাজ করবেন না। মাথা ঘুরলে শুয়ে পড়ুন এবং (পায়ের নীচে একটি বালিশ দিয়ে) পা মাথার চেয়ে উচুতে রাখুন। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন। ধুমপান করবেন না ৫ ঘণ্টা।
আগের রাতে ভাল ভাবে ঘুমান। সকালে ভাল নাস্তা করুন। ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় (চা, কফি) খাবেন না। বেশী চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্লাটিলেট দাতাদের মনে রাখতে হবে, বিগত ২ দিনের মধ্যে এসপিরিন নিয়েছেন কিনা। নিয়ে থাকলে ডোনেশন না করাই উত্তম।
না। যে সমস্ত ডায়াবেটিক রোগী ইনসুলিন গ্রহন করেন তাদের রক্ত দান না করাই ভালো। তবে বিশেষ প্রয়োজনে তারা রক্ত দান করতে পারেন। তবে খাবার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ব্লাডে গ্লুকোজ স্বাভাবিক থাকলে রক্ত দিতে পারবে।
ঠান্ডা বা সর্দি লাগা অবস্থায় যেহেতু একটি জীবানু সংক্রামন থাকে সেহেতু রক্ত দান করা যাবে না।
না। যখন শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ পান করে তখন রক্ত দান করা যাবে না।
না। এন্টিবায়োটিক খাবার অন্তত ৭ দিন পর এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তারপর রক্ত দান করা যাবে।
না। রক্ত দেবার আগের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এলকোহল পান করলে রক্ত দান করা যাবে না। পান করার ২৪ ঘণ্টা পর রক্ত দিতে পারেন।
এটা যদিও রক্তদাতার উচ্চতার ওপর নির্ভর করে তবে রক্তদাতার দেহের ওজন সর্বনিম্ন মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৭ কেজি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫০ কেজি বা এর বেশি হতে হবে। তবে প্লাটিল্যাট লাগলে ওজন কমপক্ষে ৫৫ কেজি হতে হবে, ছেলে/মেয়ে ।
খুব অল্প সংখ্যক মানুষ রক্ত দান করলে ঞ্জান হারাতে পারে। যেহেতু রক্ত নেবার কাজটি একজন ডাক্তার করে থাকেন সেহেতু অসুস্থ হয়ে পড়ার কোন ভয়ই নেই। তবে রক্ত দান করার পর অবশ্যই বিশ্রাম নিবেন।
৫ থেকে ৭ মিনিট, সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট সময় লাগে। বিশ্রাম এবং অন্যান্য সময় ধরলে সব মিলিয়ে ১ ঘন্টা লাগতে পারে।
আপনার শরীর থেকে প্রায় ৩৮০-৪০০মি.লি. রক্ত নেওয়া হয়।
ছেলেদের শরীরের ওজনের কেজি প্রতি ৭৬ মিলি লিটার এবং মেয়েদের শরীরে ওজনের কেজি প্রতি ৬৬ মিলিলিটার রক্ত থাকে। উভয়ের ক্ষেত্রেই ৫০ মিলিলিটার রক্ত সংবহনের কাজে লাগে, বাকিটা উদ্বৃত্ত থেকে যায়। অর্থাৎ, ছেলেদের উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ = (৭৬-৫০) = কেজি প্রতি ২৬ মিলিলিটার মেয়েদের উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ = (৬৬-৫০) = কেজি প্রতি ১৬ মিলিলিটার ফলে ৫০ কেজি ওজনের একটি ছেলের শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ = (৫০ x ২৬) = ১৩০০ মিলিলিটার এবং একটি মেয়ের শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ = (৫০ x ১৬) = ৮০০ মিলিলিটার স্বেচ্ছায় রক্তদানে একজন দাতার কাছ থেকে ৩৮০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত সংগ্রহ করা হয় যা তার শরীরে থাকা মোট রক্তের ১০ ভাগের ১ ভাগ এবং উদ্বৃত্ত রক্তের অর্ধেক বা তারও কম। এ কারণে অধিকাংশ রক্তদাতা রক্তদানের পর তেমন কিছুই অনুভব করেন না এবং এটি সম্পূর্ন নিরাপদ। যে পরিমাণ রক্তের তরল অংশ নেয়া হয় সেই পরিমাণ তরল অংশ মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই আবার আগের মতো হয়ে যায়। তাই রক্ত দান করা সম্পূর্ন নিরাপদ।
আটোসাটো পোষাক পরবেন না। সব রকম দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন। রক্তদান শেষে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
না। ভ্যাকসিন নেবার অন্তত ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত রক্ত দান করা যাবে না। তবে এটা ভ্যাকসিনের ধরনের উপর নির্ভরশীল। এ ব্যপারে রক্ত দানের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
হ্যা। জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল খাবার সময় রক্ত দান করা যাবে।
শিশুর জন্মের ১৫ মাস পর মা রক্তদান করতে পারেন।
হ্যাঁ। যদি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে আপনি রক্ত দান করতে পারেন।
ধূমপানে নিকোটিন সেবনের মাধ্যমে ফুসফুস বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্তহয়, কিন্তু সেবনকৃত নিকোটিনের খুব ক্ষুদ্র অংশ রক্তে মিশে, কোষে নিকোটিনের পরিমান মাইক্রোগ্রামে থাকে,কিন্তু রক্তে তা থাকে ন্যানো গ্রামে, যা টিস্যুর চেয়ে হাজার গুন কম, তাই ধূমপায়ী ব্যাক্তি নিঃসংকোচে রক্তদান করতে পারবেন।
হাতের যেখান থেকে রক্ত নেয়া হয়েছে সেখানে ম্যসেজ করবেন না। ফুলে যাওয়া, জমাট বাধা বা ইনফেকশনের সম্ভবনা নেই বললেই চলে।
প্রথমে বাম হাত থেকে আধা সিরিজ রক্ত নেওয়া হয়, ক্রস ম্যাচিং ও অন্যান্য পরীক্ষা করার জন্য। তারপর আপনার ডান হাতের বাহুতে একটি সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত নেওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়। নিডিলটি ঢোকানোর সময় সামান্য ব্যথা লাগে। তারপর আর ব্যথা লাগবে না। আপনার রক্ত একটি নলের মাধ্যমে স্যালাইনের মত একটি ব্যাগে সহজেই জমা হয়ে যায়।
না। রক্ত দানের সময় আপনি ব্যথা পাবেন না।
৩ মাস পর পর আপনি রক্ত দান করতে পারেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী, একজনসুস্থ্য পুরুষ ৩ মাস ও নারী ৪ মাস অন্তর রক্তদান করতে পারবেন।
না রক্ত দানের কোন সাইড এফেক্ট নাই।
১৮ থেকে ৬০ বছরবয়সী সুস্থ সবল মানুষ রক্ত দিতে পারবে।