Blog Details

Blog Image

নিয়মিত রক্তদানের বেশ কিছু সুবিধা

☞ সর্বপরি, নিয়মিত রক্ত দান করুন। অনেকে রক্ত দিতে দ্বিধায় ভোগেন। এর কারণ রক্তদানের পদ্ধতি ও পরবর্তী প্রভাব সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অযথা ভীতি। প্রত্যেক সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারী প্রতি তিন মাস অন্তর নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে রক্তদান করতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব তো পরেই না বরং নিয়মিত রক্তদানের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ-
► রক্ত দানের সময় হেপাটাইসিস বি, সি,সিফিলিস, ম্যলেরিয়া এবং এইডস এই ৫টি রোগের স্ক্রিনিং রিপোর্ট পাওয়া যাবেবিনামূল্যে, যা তাকে আশ্বস্ত করেতার সুস্থতা সম্পর্কে, যেটা সাধারন মানের কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কমপহ্মে কয়েক হাজার টাকা খরচ হবে।

► রক্তেযদি লৌহের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে কোলেস্টেরলের অক্সিডেশনের পরিমাণ বেড়ে যায় ও ধমনী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলশ্রুতিতে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত রক্তদিলে দেহে এই লৌহের পরিমাণ কমে যা হৃদরোগের ঝুঁকিকেও কমিয়ে দেয় কার্যকরীভাবে।

► মিলার-কিস্টোন ব্লাডসেন্টারের একগবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত রক্তদিলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ওগলার ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম বলে দেখা গেছে।
► ৪০০মিলিলিটার রক্ত দান করলে রক্ত দাতার দেহ থেকে ৫৭০ ক্যলোরি শক্তি হ্ময় হয়, তাতে রক্তে শর্করার পরিমান স্বাভাবিক থাকে যা ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়।

► নিয়মিত রক্তদানে দাতার শরীরের কিছু ভালো পরিবর্তন সাধিত হয়। কোনো দুর্ঘটনাজনিত কারণে দাতার শরীর থেকে কিছু রক্তপাত হলেও তার কোনো সমস্যা হয় না!
► প্রতি ৪ মাস অন্তর রক্ত দিলে দেহে নতুন Blood Cell তৈরীর প্রণোদনা সৃষ্টি হয়। এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যায়।
► রক্তদান করার সাথে সাথে আমাদের শরীরের মধ্যে অবস্থিত অস্থিমজ্জা (Bone Marrow) নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্ত দান করার মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায় আর লোহিত কণিকার ঘাটতি পূরণ হতে সময় লাগে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ। আর এই পুরো প্রক্রিয়া আসলে শরীরের সার্বিক সুস্থতা, প্রাণবন্ততা আর কর্মক্ষমতাকেই বাড়িয়ে দেয়।
► মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে আপনি পাবেন মানসিক তৃপ্তি।
► কোনো সেন্টারে একবার রক্তদান করলে ওই সেন্টার দাতার প্রয়োজনে যেকোনো সময় রক্ত সরবরাহ করে থাকে।
► রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ বাড়ে।
► রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।’ ঋগ্‌বেদে বলা হয়েছে ‘নিঃশর্ত দানের জন্যে রয়েছে চমৎকার পুরস্কার। তারা লাভ করে আশীর্বাদধন্য দীর্ঘজীবন ও অমরত্ব।’ (ঋগবেদঃ ১/১২৫/৬)।
☞ সবশেষ সবার প্রতি একটি প্রশ্ন রক্ত দানের এসব অজুহাত আর ভয়ের কাছে আপনি পরাজিত হবেন নাকি এসব অজুহাত আর ভয়কে আপনি রক্ত দানের মাধ্যমে পরাজিত করবেন???