Blog Details

Blog Image

রক্ত দান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ

যেহেতু 'গ্রাফ্‌ট ভার্সাস হোস্ট ডিজিজ' এ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার শতকরা ৮০-৯০ ভাগ, তাই রক্তের সর্ম্পকের কারো রক্ত দান না করাই ভাল, যদিও এ সমস্যাটি খুব কম হ্মেত্রেই ঘটে থাকে। আজ যদি আপনি একজনকে রক্তদান করুন ইনশাহ্আল্লাহ্ আপনার আপনার পরিচিতদের প্রয়োজনেও আরেকজন এগিয়ে আসবে। রক্ত দান করে তার সাথে সুসম্পর্ক রাখুন, মানুষকে রক্ত দানে উৎসাহিত করুন, ইনশাহ্আল্লাহ্ রক্তের অভাবে প্রান হরাবে না কেউ।
☞ অধিকাংশ মানুষ মনে করে B+ve গরুর রক্ত, ইহা খুবই সহজ লভ্য, তাই আমার তা না দিলেও চলবে, আসলে কি তাই???
পৃথিবীতে যত মেরুদন্ডী প্রাণী আছে তাদের সকলেরই রক্ত সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে রাসায়নিক গঠনের পার্থক্য থাকায় কোন প্রাণীর রক্ত অন্য কোন প্রাণীরই অনুরূপ নয়।

প্রথমেই আসা যাক রক্তের গ্রুপ কি? রক্তের গ্রুপ হল রক্তের লোহিত কণিকায় অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি যা বংশগতভাবে নির্দিষ্ট। এই অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের গ্রুপিং সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে।
মানুষের ক্ষেত্রে ABO সিস্টেম ও Rh সিস্টেম বিশ্বজুড়ে প্রচলিত। এই দুই সিস্টেম অনুযায়ী A, B, O ও AB এই চার ধরনের রক্তের গ্রুপের প্রতিটির (+) ও (-) অ্যান্টিজেন আছে। এই মোট ৮ ধরনের রক্ত মানুষের শরীরে পাওয়া যায়।

গরুর বেলায় A, B, C, F,J, L, M, R, S, T ও Z এই ১১ টি প্রধান রক্তের গ্রুপ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শুধুমাত্র B গ্রুপেরই ৬০ টির উপরে অ্যান্টিজেন আছে। এছাড়াও আরও কিছু অপ্রধান গ্রুপের রক্তে আছে যেগুলো সচরাচর পাওয়া যায় না। এজন্য গরুর রক্ত মানুষ তো দূরের কথা এক গরু থেকে অন্য গরুতেই সঞ্চালন করা দূরুহ ব্যাপার।
এখন বলছি কেন B+ve কে গরুর রক্ত বলা হয়? আমাদের এশিয়া মহাদেশে B+ve গ্রুপধারী মানুষের সংখ্যা অন্য যে কোন গ্রুপধারীর চেয়ে বেশি। ফলে কাউকে যদি রক্তের গ্রুপ জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে উত্তর B+ve হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এজন্য হয়তোবা B+ve কে গরুর রক্ত বলা হয়। তবে এশিয়ায় B+ve ধারীর সংখ্যা প্রায় ৩০% হলেও ইউরোপ বা আমেরিকায় তা মাত্র ১০%। তাই আমাদের দেশে B+ve রক্তধারী মানুষ যেমন বেশি এর রুগী সংখ্যাও বেশি। তাই B+ve রক্তের প্রয়োজনকে অবহেলা না করে সমান গুরুত্ব দিয়ে রক্ত দানে এগিয়ে আসুন।